Saturday, June 2, 2018

দুটি কবিতা কুমারেশ তেওয়ারী




কাঁটার কোলাজ


উথালপাথাল দেখে যখন শেকলও চাই
ছিঁড়ে পড়ে যেতে
কবিতা নীরব থাকে আর তার কবি
নীরবতা মেখে চুপ পিরিতির খেতে

ক্ষমতার মহাফলে ঢলোঢলো বাঞ্ছাকল্পতরু
না চাইতে ঝুলি ভরো মহৎ প্রসাদ 
লেখনীতে শুধু দাও বাধিত কুলুপ
আলজিভে আলপিন গেঁথে ঢেকে রাখো
সত্যধর্মী যত সব বাকের আবাদ

ভাতঘুমে থাকো কবি স্বপ্নে দোলো 
ব্যাবিলন,কবেকার ঝুলন্ত উদ্যান
জেগে উঠে পরে নাও হিপোক্র্যাট ঝোলানো মুখোশ
বিভূতির ছাই ঘেঁটে বাকের ভেতরে
দেখো কবে মরে হেজে গেছে
ভেতরে গোপনে থাকা রোদ্দুরের ধ্যান

তবে জেনো এভাবে নীরব থেকে 
যদি ভাবো সকলেই অন্ধ হলো আজ
আয়না তোমাকে দেবে উপহার
আশরীর কাঁটার কোলাজ



নীরবতা


কবিতা লেখার আগে নীরবতা ভালো
কবিতা লেখার পরে নীরবতা রেখে যায়
কবিতার প্রতি এক সম্ভ্রম ঝাঁঝালো

তুলে আনতে চাইছো হয়তো ঈশ্বরের কথা
পঙক্তিতে পঙক্তিতে থাকো কবি
অসীমের ধ্যানলগ্নরতা

অথবা যখন কোনো চিত্রকল্প গড়ো
নির্মাণ ও বিনির্মাণে কবিতাকে
প্রকৃত চাষীর মতো অক্ষরের বীজে
কায়ার আবাদে ধরো

নীরবতা ভালো কবি নীরবতা ভালো
বিমূর্ত কবিতা থেকে গান নিয়ে
উঠে আসে ফসলের আলো

আমিষ ছুরিকা থেকে আস্ফালন 
যখন উলঙ্গ হয়ে টুঁটি ছেঁড়ে ডেমোক্রেসির
তখনও নীরব কবি কীভাবে এতটা থাকো স্থির
ভাবোনি একবারও হঠাৎ জলের থেকে
উঠে এসে টেনে নেবে ডুব জলে
তবুও পোষ না মানা কুটিল কুমির

1 comment: