স্তব্ধতা
(১)
ঝরা পাতা স্থির ভেসে আছে জলে
পোড়া কাঠে গা এলিয়ে শুয়ে আছে দুপুর
থম মেরে আছে বাতাস ঘনত্ব বুকে নিয়ে,
পড়ে আছে উপড়ানো পালক যে পাখি কথা বলেছিল তার।
যে পায়ের ছাপ মুখ ফিরিয়ে চলে গেছে বহুদূর- তাতেও লেগে আছে প্রশ্ন।
ঘাটের শ্যাওলা জানে কতোবার ওঠানামা
জানে যারা ভয়ে জল খেতে নেমেছিল
চুপিচুপি তলিয়ে গেছে চোরা পাঁকে,
বুদবুদ ওঠে খালি।
চারিধার থেকে বয়ে আসা রক্ত গড়িয়ে মিশছে জলে,
কোথাও কোনো আওয়াজ নেই
সমস্তটাই স্তব্ধ।
সমস্ত দৃশ্য চাক্ষুষ করছে এক বোবা;
তাও সে কলমে আঁচড়াচ্ছে স্থল
তার নীরব কান্নায় শুধু কেঁপে উঠছে পুকুরের জল...
(২)
তোমাকে বলা হয়েছে শুধু গড়ে যাও
ভিত নিয়ে প্রশ্ন করো না
বলা হয়েছে আচমন করে খেতে বসো
পোকা বেছে বেছে খাও
হেঁটে যাও, ঘাস-চরিত্র বিশ্লেষণ করো না
উড়ে যাও, দিক নির্ণয় অধিকার তোমার নেই
মঞ্চে ওঠো, গলায় মালা নিয়ে ভাষণ দাও
অথচ তুমি দেখলে কিছু ব্যাবধান অন্তর সেলাই তোমার ঠোঁটে,
যদি না শোনো জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়া হবে
গায়ে মদ ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হবে আগুন
চোখে ছুঁড়ে দেওয়া হবে তোমার বোনের রক্ত
পিছনে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে গনগনে শিক,
না হলে ডেনড্রাইটে তোমাকে সাঁটিয়ে দেওয়া হবে বডি ম্যাসাজ বিজ্ঞাপনের ঠিক নীচে।
কথা হলো এই-
যেদিন ভাবলে সব কিছু ছেড়ে গর্তে ঢুকবে তুমি
সেই রাতে স্বপ্নে পৃথিবী পোশাক খুলে তোমার দিকে বাড়িয়ে দিল তার শরীর
আর চিৎকার করে বললো-
তোলো তোমার অস্ত্র
খোদাই করো আমার সর্বাঙ্গে তোমার মনের স্ফুরণ
শুধু খোদাই করে যাও, যাতে মাইলস্টোন দেখে কেউ দিকভ্রান্ত না হয়।
ভোরে ঘুম ভাঙার পর তুমি এগিয়ে গেলে আবার সেই টেবিল চেয়ারের দিকে....
No comments:
Post a Comment