ক্রোড়পত্র: কবির নীরবতা ও নীরবতার কবি
মৌনতা যখন বাধ্যতামূলক
মুখ
বুঝে লিখে যায় দুটো আঙুল। টিমটিমে আলোর নীচে ঝাকরা মাথা ডুবে আছে সাগরের জলে। সারা
গায়ে তার বিন্দুবিন্দু ঘাম। ভিজে যায় সাদা কাগজ, খাতা, পেনের মুখ।
কলমটি থামে। ঘামচোষা কাপড়ের আড়ালে দুদন্ড জিরিয়ে নেয়। আলো কমে এলে সে আবার জ্বলে ওঠে। চারদিকে আগুন আর আগুন। লিখতে লিখতে তার খাতায় ঝরছে আগুন। শব্দ প্রস্তুত বিস্ফোরণের আগে।
কবির আগুন চোখে ঠেলে আসে কতকালের পুষে রাখা রাগ। রক্তবমি করতে করতে সে মিসাইল ছোঁড়ে।
একটা মানুষও মরে না। মশা, মাছি কিচ্ছু না। কেউ পড়েও না তার কাগজের গঠন। সভাঘরে উচ্চারিত শব্দের সাথে চিরতরে কাটাকুটি খেলতে ইচ্ছা হয়। কবি পারেননা। আবার চিৎকার করে পড়তে থাকেন রাস্তায় রাস্তায়। ঢাক ঢোল পিটিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে মাইকিং করে কবি একটার পর একটা বিস্ফোরণ ঘটান। এখন ছুটে আসে হাততালি, তাড়া তাড়া ফুল, সম্মানিক। ছুটে আসে দলে দলে ছাপোষা ভদ্রলোক। মুখ ভরা মিষ্টিপান, সাদা পাঞ্জাবী, চাপ দাঁড়ি জোড়হাত হয়ে সম্বোর্ধনা জানায়। কবি ভেবে পাননা তিনি কি আপ্লুত নাকি এখুনি উলঙ্গতার ভয়ে লুকিয়ে থাকবেন অন্ধ চিলেকোঠায়? কবির পা ভিজে যায় দুধআলতায়। খাটের নীচে পুষ্পবিছানো পথ। দুঃস্বপ্নের মত কবি আঁতকে ওঠেন। ছিঁড়ে দেন তার খাতা কাগজ। কলমের কালি ঢেলে দেন কাঁটাগাছের গোড়ায়।
বিবেক মরে যাওয়া মানুষের ঢল সামাজিক সেজে এঁকে নিচ্ছে মিষ্টি হাসি। আবার তারাই কবির দুর্দশায় কালি ছিটিয়ে যায় সারা গায়ে। কবি আঙুল তোলেন। মিশাইল জ্বলে ওঠে। মানুষ জ্বলে না। খুন, জখম, রাহাজানি , ধর্ষন ডিঙিয়ে কবি হেঁটে যান মরা মানুষের বুকের ওপর দিয়ে। একটার পর একটা মানুষের মুখ তার মা, বাবা, ভাই, বোন, ছেলে মেয়ে, বন্ধু পরিজনের মত। কবি ভয়ে সিঁটিয়ে যান ক্রমাগত। পা এগোয় না আর। চারমাস বেতনহীন সরকারী চাকুরের কবিতা লেখার শখ তখন বাঁচার চাহিদায় পুড়ে ছাই।
আঙুলে জরা নামে। মাথায় বরফ। অথচ শরীর পুড়ে যাচ্ছে আগুনে। বুকের বাঁদিকে তীব্র হাহাকার। তবু আঙুল নড়ে না। শব্দের মিশাইল থেমে যায়। কবি দুচোখ খুলে দেখেন হত্যালীলা। কখনও গরু ছাগল তো কখনও মানুষ। রক্তের কাদাজলে ডুবে যায় সব মুখ। চোখ খুললেই ফোটে আতঙ্ক। গায়ে হাত দিয়ে সে দেখে নেয় নিজের চোখমুখ।
রোজ রোজ ঘটে অঘটন। অঘটন না হলে ঘটনা। কুটিকুটি দেহ, ধর্মের প্রবচন, কার্জনি বিভেদ, ধর্ষন। মাথা কাজ করে না।ঘেন্নায় জ্বলে ওঠে কবি। ভাষা উবে যায়, কার্পণ্য দেখায়। কবিও ক্লান্ত হয়ে ওঠে। জ্বলতে থাকে তার নির্ঘুম চোখ। মৌনতা গ্রাস করে সাদা কাগজ। কাঁপা হাতে কবি গোলাপ স্পর্শ করেন। তবুও ভালোবাসা পান না এতটুকু। বিষিয়ে গেছে আজ পাশের মানুষও। ক্লান্তি অবসন্নতার ধুলোঝড়ে কিংবদন্তী কবিও মূক হয়ে তাকিয়ে থাকেন অচেনা ভবিতব্যের পথে...
কলমটি থামে। ঘামচোষা কাপড়ের আড়ালে দুদন্ড জিরিয়ে নেয়। আলো কমে এলে সে আবার জ্বলে ওঠে। চারদিকে আগুন আর আগুন। লিখতে লিখতে তার খাতায় ঝরছে আগুন। শব্দ প্রস্তুত বিস্ফোরণের আগে।
কবির আগুন চোখে ঠেলে আসে কতকালের পুষে রাখা রাগ। রক্তবমি করতে করতে সে মিসাইল ছোঁড়ে।
একটা মানুষও মরে না। মশা, মাছি কিচ্ছু না। কেউ পড়েও না তার কাগজের গঠন। সভাঘরে উচ্চারিত শব্দের সাথে চিরতরে কাটাকুটি খেলতে ইচ্ছা হয়। কবি পারেননা। আবার চিৎকার করে পড়তে থাকেন রাস্তায় রাস্তায়। ঢাক ঢোল পিটিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে মাইকিং করে কবি একটার পর একটা বিস্ফোরণ ঘটান। এখন ছুটে আসে হাততালি, তাড়া তাড়া ফুল, সম্মানিক। ছুটে আসে দলে দলে ছাপোষা ভদ্রলোক। মুখ ভরা মিষ্টিপান, সাদা পাঞ্জাবী, চাপ দাঁড়ি জোড়হাত হয়ে সম্বোর্ধনা জানায়। কবি ভেবে পাননা তিনি কি আপ্লুত নাকি এখুনি উলঙ্গতার ভয়ে লুকিয়ে থাকবেন অন্ধ চিলেকোঠায়? কবির পা ভিজে যায় দুধআলতায়। খাটের নীচে পুষ্পবিছানো পথ। দুঃস্বপ্নের মত কবি আঁতকে ওঠেন। ছিঁড়ে দেন তার খাতা কাগজ। কলমের কালি ঢেলে দেন কাঁটাগাছের গোড়ায়।
বিবেক মরে যাওয়া মানুষের ঢল সামাজিক সেজে এঁকে নিচ্ছে মিষ্টি হাসি। আবার তারাই কবির দুর্দশায় কালি ছিটিয়ে যায় সারা গায়ে। কবি আঙুল তোলেন। মিশাইল জ্বলে ওঠে। মানুষ জ্বলে না। খুন, জখম, রাহাজানি , ধর্ষন ডিঙিয়ে কবি হেঁটে যান মরা মানুষের বুকের ওপর দিয়ে। একটার পর একটা মানুষের মুখ তার মা, বাবা, ভাই, বোন, ছেলে মেয়ে, বন্ধু পরিজনের মত। কবি ভয়ে সিঁটিয়ে যান ক্রমাগত। পা এগোয় না আর। চারমাস বেতনহীন সরকারী চাকুরের কবিতা লেখার শখ তখন বাঁচার চাহিদায় পুড়ে ছাই।
আঙুলে জরা নামে। মাথায় বরফ। অথচ শরীর পুড়ে যাচ্ছে আগুনে। বুকের বাঁদিকে তীব্র হাহাকার। তবু আঙুল নড়ে না। শব্দের মিশাইল থেমে যায়। কবি দুচোখ খুলে দেখেন হত্যালীলা। কখনও গরু ছাগল তো কখনও মানুষ। রক্তের কাদাজলে ডুবে যায় সব মুখ। চোখ খুললেই ফোটে আতঙ্ক। গায়ে হাত দিয়ে সে দেখে নেয় নিজের চোখমুখ।
রোজ রোজ ঘটে অঘটন। অঘটন না হলে ঘটনা। কুটিকুটি দেহ, ধর্মের প্রবচন, কার্জনি বিভেদ, ধর্ষন। মাথা কাজ করে না।ঘেন্নায় জ্বলে ওঠে কবি। ভাষা উবে যায়, কার্পণ্য দেখায়। কবিও ক্লান্ত হয়ে ওঠে। জ্বলতে থাকে তার নির্ঘুম চোখ। মৌনতা গ্রাস করে সাদা কাগজ। কাঁপা হাতে কবি গোলাপ স্পর্শ করেন। তবুও ভালোবাসা পান না এতটুকু। বিষিয়ে গেছে আজ পাশের মানুষও। ক্লান্তি অবসন্নতার ধুলোঝড়ে কিংবদন্তী কবিও মূক হয়ে তাকিয়ে থাকেন অচেনা ভবিতব্যের পথে...
লেখাটির বিষয়বস্তু ভাল।
ReplyDeleteলেখাটিকে আরো হ্রস্ব করে মূল বক্তব্যটি বলা যায়।
কিছু সংশোধন প্রয়োজন। যেমন,কখনও গরুছাগল কখনো মানুষ- এই বাক্যটি ভার হয়ে উঠেছে।
শুভাচ্ছা।