গোঁসাই চলে যাচ্ছেন
ভ্রমর কালো চোখে এখন টলটলে পদ্মমধুর ঘোর,
আর,কাজলের মত তন্দ্রা ছুঁয়ে আছে
শ্বেতচাঁপা রঙে মহাপয়ারের প্রস্তুতি...
গোঁসাই চলে যাচ্ছেন...
শ্রীঅঙ্গে এখন বিষাদ-মুদ্রা...
সাবেককালের নিকোনো দাওয়ায়
ভাঙা মেলার জোড়া ময়ূর দুলে দুলে অন্য পৃথিবীর গান সাজায়,
এদিকে,জ্যোৎস্না এঁকে দিচ্ছে কীর্তনের পঙক্তি
নিধুবন আলো আলো...মায়ামায়া...
দেখতে দেখতে রাধাভাব আর কৃষ্ণভাব
ছেয়ে গেল মহল্লার আনাচেকানাচে।
এখন চন্দন গন্ধে ম ম করছে রাত্রির গা, আর,
গোঁসাইয়ের চোখের জলে জন্ম নিচ্ছেন বিদ্যাপতি।
শঙ্খধ্বনি করলেন রাইকিশোরীরা।
সবাই দেখছেন,শ্রীমুখ কেমন ঘন হয়ে মিশে যাচ্ছে রাত্রির ভেতর।
এই রাত্রি মহাভাবের মধ্যে উদ্বেল..
গোঁসাই উঠে দাঁড়ালেন..
সমূহ চরাচর নত হল তার সম্মুখে..
দূরে কোথাও শ্রীখোল বাজাচ্ছেন কেউ...
এবারে গ্রহণ করো জল
বিহঙ্গ গানের মত রাত...
তুমি অগণন জলের মুদ্রায় ক্ষয় লিখে লিখে মেদুর হয়েছো।
আজ তবে সমূহ ক্ষরণটুকু বুকে নিই।
চোখ জুড়ে শালুক পাতার মায়া...
এখানে বিষাদ ঘনালে
ম্লান হয় প্লাবনের অফুরান নেশা।
চোখ থেকে দৃষ্টি ছুট দেয়..
এবারে গ্রহণ করো পাখি....
জিরোবার কাল হয়ে আসে।
ম্রিয়মান শরীর খুলে
হাওয়ামেঘ শূন্যকাল বলে চলেছে শুধু।
অঘুমের রঙে আশরীর কালো..কালো..কালো....
ঢাল বেয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে সবটুকু রঙের হদিশ।
এবারে গ্রহণ করো জল..
একার গভীরটুকু ক্ষয় সয়ে সয়ে আজ, নির্জন পাতা হয়ে এলো...
খুব সুন্দর শব্দ চয়ন,ভাবটিও সুন্দর
ReplyDelete