হিমসাঁকো
আসি বলে চলে গেলে
দুয়ের মাঝে যে আলগা সাঁকো ঝোলে
তার নীচে শীতের উৎসব হয়
বসন্ত উৎসব হলে একরকম
কিন্তু শীতের উৎসবের রঙ
জলে ধোয় না
বরং জলের ভিতর যে রঙ থাকে
তার ছোপ লেগে রেলিঙে জং ধরে
সকাল সকাল বাড়ি থেকে বেরোলেও
সাঁকো পার হওয়া যায় না
শিশির ভেজা ঘাস পা আঁকড়ে ধরে
কুয়াশায় সামনে দেখা যায় না
কান খাড়া করলে যেন শোনা যায়
সাঁকোর ওপারে শ্রাবণ নেমেছে
দু দণ্ড বসে ফেরার পথ ধরি
শীত জমে জমে তুষারপাত হয়
ছাতা খুঁজতে গিয়ে মনে পড়ে
আমার ছাতা নিয়ে চলে গেছিলে
তোমার শ্রাবণে আমার আকাশী ছাতা
তোমার সঙ্গ দেয়-
এসব ভেবে আগুন পোহাই আমি
আয় আয়
দু চোখ বুজলে
পোড়া চামড়া ডাকে-
আয় আয়।
ঘুমের সরণী জুড়ে
সার সার পোড়া বডি শুয়ে আছে;
কাটা হাত, কাটা পা, কাটা গলা...
কাটা মাংসগুলো আঠা দিয়ে জুড়ে দিই,
দেখি মানচিত্র ডাকে-
আয়, আয়।
কিন্তু এই সুবৃহৎ ভূমিখণ্ডে
ছ-ফিট মাটিও দেখি না কোথাও!
শুধু মাইলের পর মাইল
ফসল পোড়া ছাই,
কিলোমিটারের পর কিলোমিটার
ছাই চাপা জল।
জলের নীচে হাত পাতলে
মরা মাছেরা ডাকে-
আয় আয়।
No comments:
Post a Comment