Saturday, June 2, 2018

গুচ্ছ কবিতা শুভ আঢ্য





ভাষা 

অথচ ভাষার মোড়ে স্তব্ধতা আর বাতাবি
বেড়ে চলে প্রতীক্ষার গাছজল চেয়ে
তুমি শব্দ করে ওঠো বুকের ভেতর এবং
গরানের বনে হলুদ ডোরার ভেতর হয়ে পড়ো
আক্রমণাত্মকএই বুঝি শব্দের রোঁয়া ভেদ করে
বেরিয়ে আসবেএই বুঝি পথের কাঁটা থেকে
কফিনের ভেতর থেকে স্তব্ধতা ভেঙে বেরিয়ে আসবে

ভাষার মোড়ে শব্দ করে ওঠো তুমি অন্ধকার
হলুদ বনে ওই বাঘ হয়ে টুঁটি চিপে ধরো অক্ষরের
এই বুঝি কানের হাওয়ার ভেতর ভুড়ভুড়ি পাকিয়ে
তুমি ভুভুজেলা বাজিয়ে উঠতে চাইবে প্রতীক্ষায়

১০
প্রেত এই কথা বলে, 'তুমি কি ভাষায় কথা বলো'এবং ভাষারা ঘোরে উঠে দাঁড়ায় শব্দের ওপর
এমনকী শবদেহের ওপরওযেখানে তুমি কথা না বলা
অভ্যাস করছআর নিস্তব্ধতার ভেতর কাঁটা নিয়ে
পরতে পরতে খুলছ প্রতি ধ্বনির মাংস তামসিক রাতে

প্রেত সেই শেষ কথা বলেভাষাতীত
আর হারামের কথাও বলে শব্দের ভেতর

শব্দের ভেতর হারামশব্দের ভেতরই জন্নত
প্রেত এই কথা বলে তোমার গলায় আমাকে যেখানে 
খুঁজছ তুমি প্রেতকে আর আমি ঢুকে পড়ছি তার ভেতর 
(ঋণ - উৎপল কুমার বসু)

১১
অথচ ভাবের ঘরফায়ারপ্লেস
ওই উঠছে চা বাগানের ভাষাতার বাহারি
রেকাবি ভরে উঠছে যৌবনে যেভাবে কবেকার
বেশ্যাদের ঘর ভরে উঠেছিল আদিম এবং এপ শব্দাদিতে
তবুও তো ঘর ভাবেরঅভাবের ছাদের নীচে
কাচের জানলার বাইরে ভাষা দাঁড়ায়তারা পোশাকাদি
পরেআর ঘুমচোখে গোড়ালি টিপে নতুন ভাষার
গর্দানের দিকে এগিয়ে যায় যেন এইমাত্র সেখানে
নতুন চা বাগানঝুমের চাষ ভাষা হয়ে উঠবে
যৌবনের বনেবেশ্যাদের টানা বারান্দা যেভাবে খুব
গিড়ানো সন্তানগন্ধে ভরে ওঠে ও নুয়ে পড়ে ভারে

১২
এক কাঠের পেঁচার ভাষা সেরকমই
যেভাবে বাকিরা চরে এবং অন্ধত্ব চাপিয়ে
আমরা বেড়িয়ে পড়ি দিনের বেলা কাজের উদ্দেশ্যে
খাদ্যের উদ্দেশ্যে কেউ আমরা অন্ধের অভিনয়ও করি
কাঠের পেঁচার গলায় ডাকি আর বাচ্চারা সেসব
পেঁচাদের ওয়াইজ আউল বলে জানেবাচ্চারা সেই
অন্ধতা উপভোগ করে খুব যখন দিনে হাতড়ে
ভেদ হওয়া ভাষা আমাদের ছেড়ে চলে যায়এমনকী
আমরা দৃশ্যের ভেতরও দেখি নেভি ব্লু কালারের
ভাষা আমাদের চোখের রেটিনায় এগিয়ে আসছে
গতরাতের দৃশ্য প্রেজেন্ট পারফেক্ট হয়ে এগিয়ে আসছে

No comments:

Post a Comment